আমার মতো অসম্মানের বিদায় যেন ওদের ৪জনের না হয়: মাশরাফি

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় নেই টাইগারদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাকে যেভাবে বিদায় দেওয়া হয়েছে সেভাবে যেন বাকি ক্রিকেটারদের না দেওয়া হয় বোর্ডের প্রতি সেই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বিগত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন সাক্ষাতকারে বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন মাশরাফি।

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর তাকে ঘিরে বোর্ড কর্মকর্তাদের কটূক্তি মন্তব্যও তার এসেছে বলে জানিয়েছেন মাশরাফি। এমনকি তার অবসর নিয়েও জল কম ঘোলা করেনি দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার সুমন। তাকে নিয়ে দুই নির্বাচকের বিরুদ্ধে মিডিয়ায় মিথ্যাচারের অভিযোগও আনেন তিনি।

তবে তাকে বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেওয়ার প্রস্তাবের অপেক্ষা করেছিলেন তিনি। সেটি না হয়ে উল্টো শেষদিকে অপবাদ নিয়েই একপ্রকার ‘অবসর’ই নিয়েছেন মাশরাফি। তবে তাকে যেভাবে অসম্মান করে বিদায় দেওয়া হয়েছে সেটি যেন বাকি চার সিনিয়রের সঙ্গে না হয় বোর্ডের প্রতি সেই অনুরোধ করেন মাশরাফি।

সম্প্রতি দেশের টিভি চ্যানেল ‘ডিবিসি নিউজকে’ দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব বলেন তিনি। “ক্রিকেট থেকে বিদায়ের সময় আমাকে যে সম্মানহানি করা হয়েছে সেটা তো আর ফিরে পাব না। কিন্তু আশা করি সামনে যারা বিদায় নিবে ক্রিকেট থেকে সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ- তাঁদের সময়টাও ধীরে ধীরে চলে আসছে।

তাঁদের বিদায়টা যেন অন্তত আনন্দঘন পরিবেশে হয় এবং এই পরিবেশটা যেন আমাদের ক্রিকেটে তৈরি হয়। অনেক ক্রিকেটারই রয়েছেন যারা ক্যারিয়ার জুড়ে দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করেও বিদায়বেলা স্মরণীয় হয়নি। এটি নিয়ে মাশরাফির মনে আক্ষেপ থাকলেও নিজের ভাগ্যের লিখনকে মেনে নিচ্ছেন তিনি। আমার সাথে যোগাযোগ করা বিসিবির এখন জরুরী না।

কারণ না আমি ক্রিকেট বোর্ডের বেতনভুক্ত ক্রিকেটার, না আমি ক্রিকেট বোর্ডের কোন কর্মকর্তা। বিদায় হয়তোবা স্মরণীয় হয় না। আমি মারাও যেতে পারতাম। সেখেত্রেও তো দৃশ্যপট অন্যরকম হতে পারত। আমার সাথে যোগাযোগ করলেই যে আমি চুপ হয়ে যাব তা না কিংবা আমার সাথে যোগাযোগ করলেই যে তারা ঠিক হয়ে যাবে ব্যাপারটা তেমন না। আপনার আউটকাম নির্ভর করছে সামনে কিভাবে চলবে।